দেশের উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ু জনিত বিপদ থেকে জীবন জীবন রক্ষায় আগাম প্রচার ও পদক্ষেপ গ্রহন সহজতর করার লক্ষ্যে কাজ করবে জাগোনারী।
বুধবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ দরবার হলে এক অবহিতকরণ কর্মশালায় এসব কথা জানান বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগোনারীর কর্মকর্তারা।
জাগো নারীর প্রকল্প কর্মকর্তা কিশোর কুমার দাস এর সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাগোনারীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান প্রিন্স, কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি হুমায়ুন কবির, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা হিমেল ও ফিরোজ মাহমুদ।
বক্তারা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শৈত্য প্রবাহ, অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি, নদী ভাঙ্গন ও টর্নেডোর মত বিপদসমূহ মানুষের আয়কে ব্যাহত করছে। এছাড়া উপকূল এলাকার জনগোষ্ঠীকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানচ্যুত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক কারণে দুর্যোগের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ২৭ তম অবস্থানে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশের ১০৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪.৬ মিলিয়ন বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৪.১ বিলিয়ন ডলার।
তাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ক্ষতিকর প্রভাব ভিত্তিক পূর্বাভাসের উপর গুরুত্ব প্রদান করে বিবিধ বিপদ ও দুর্যোগের জন্য বাংলাদেশের উত্তর ও উপকূলীয় অঞ্চলের বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য কাজ করবে জাগোনারী।
ইতিমধ্যে এবছরের শুরুতেই পটুয়াখালী সদর ও কলাপাড়া উপজেলায় কাজ শুরু করেছে তারা।
দাতা সংস্থা দি জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস ও সেইভ দ্য চিল্ড্রেন ইন্টারন্যাশনাল এ কাজে সহযোগিতা করছে। ২০২৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ কাজ চলমান থাকবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ বাড়ছে।
আশা করছি জাগোনারীর এ প্রকল্পের সহায়তায় সাধারণ মানুষ দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।
মোয়াজ্জেম হোসেন
কলাপাড়া